মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন? এখনকার কুইক লাইফস্টাইলে স্মার্টফোন শুধুমাত্র ফোনকল করা বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলেই আটকে নেই। স্মার্টফোন এখন হয়ে উঠেছে আপনার আর্থিক স্বাধীনতার ‘গোল্ডেন টিকিট’। সেকেন্ডারি ইনকাম সোর্স বা ফুল-টাইম অনলাইন ইনকামের মিডিয়াম হিসেবে স্মার্টফোনের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। চলুন, তাহলে দেরি না করে দ্রুত দেখে নিই একটি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি প্রমাণিত উপায়গুলো ঠিক কি কি? How to earn money online using a smartphone?

অনলাইনে একটি মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাবে তার প্রতিটি উপায় এবং পদ্ধতিগুলো নিচে আমরা একে একে এবার জেনেনেই।
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি কি?
একটি স্মার্টফোন দিয়ে ইনকাম করার যেই উপায় গুলোর বিষয়ে আমি নিচে বলে দিয়েছি সেগুলি অবলম্বন করে অনেকেই বর্তমানে টাকা রোজগারের সুযোগ পেয়েছেন। তাই, আপনি চাইলে আপনিও এই উপায় গুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম ইনকাম রাস্তা অবশই তৈরি করে নিতে পারবেন।
১. Freecash.com (সার্ভে ওয়েবসাইট):
নিজের খালি সময়ে মোবাইল দিয়ে এক্সট্রা ক্যাশ ইনকামের সেরা একটা ওয়েবসাইট হল এই Freecash.com।
এখানে সার্ভে ফিলআপ করে, মাইক্রো–টাস্ক কমপ্লিট করে বা ভিডিও দেখে সহজেই ক্যাশ পেয়ে যান। এই সাইটে একদম ফ্রিতেই সাইন–আপ করা যায়। এখানে সাইন–আপ করার সাথেসাথেই নানান টাস্ক আসতেই থাকে।
একবার ইনকামের কোটা কমপ্লিট হওয়ার পর এখান থেকে Crypto-currency, গিফ্টকার্ড বা PayPal-এর মাধ্যমে ক্যাশ রিডিম করা যায়। এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে কোনোরকমের কোনো স্পেশাল স্কিল লাগে না। এর লো–পেআউট ক্রাইটেরিয়ার জন্যে এখানে মিনিমাম অ্যামাউন্টেই টাকা উইথড্র করা যায়।
সুবিধা:
- গ্লোবাল ইউসার বেস,
- মিনিমাম লো–পেআউট সিস্টেম,
- সিম্পল টাস্কের সাহায্যে দ্রুত আয় হয়,
- রেগুলার ইউসারদের জন্যে ডেইলি বোনাস দেয়,
- একাধিক ক্যাশ–আউট অপশন (গিফ্টকার্ড/ক্রিপ্টো/PayPal)।
২. Ysense.com (অনলাইন কম্যুনিটি ওয়েবসাইট):
অনেকটা Freecash.com-এর মতোই https://www.ysense.com/-ও হল একটা ফ্রিতে আর্ন করার ওয়েবসাইট। এই ইন্টারন্যাশনাল সাইটটি নিজের মোবাইল দিয়ে ওপেন করেই অনায়াসেই মাইক্রো-টাস্ক কমপ্লিট করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
সারাদিনে কয়েক মিনিট সময় দিলেই এখান থেকে অনেকটা টাকা উঠে আসবে। এছাড়া এর রেফারাল প্রোগ্রামের সাহায্যে আপনি বন্ধুদের এই সাইটে জয়েন করাতে পারলেই এক্সট্রা ক্যাশ আর্ন করতে পারবেন।
এখানে গিফ্টকার্ড, Skrill বা PayPal-এর হিসেবে ক্যাশ তোলা যায়। আর এখানে ইনকাম করার জন্যে কোনো ধরণের এক্সপেরিয়েন্স লাগে না।
সুবিধা:
- মিনিমাম উইথড্রয়াল লিমিট,
- রেফারাল বোনাস পাওয়া যায়,
- সহজ ও দ্রুত সাইন–আপ প্রসেস,
- প্রেফারেন্স অনুযায়ী বিভিন্ন টাস্ক থাকে,
- বিভিন্ন রকমের উইথড্রয়াল অপশনস আছে।
৩. ব্লগিং:
ইন্টারনেট দুনিয়ার অগণিত অডিয়েন্সের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও শখগুলোকে পৌঁছে দেওয়ার সেরা মাধ্যম হল ব্লগিং। এই ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও কিন্তু ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। এখনকার যুগে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্লগিং থেকে ইনকামের বিষয়টা কিন্তু যথেষ্ট জনপ্রিয়।
WordPress, Wix–এর মতো ওয়েবসাইট–মেকিং প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে সহজেই নিজের ব্লগ বানানো যায়।
বিজ্ঞাপন, স্পন্সর্ড পোস্ট বা আফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্লগকে মনিটাইজ করা সম্ভব। একবার ব্লগে ট্রাফিক ও এনগেজমেন্ট আসতে শুরু করলে, নিজের পছন্দমতো কনটেন্টগুলো রেগুলার আপলোড করেও প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
সুবিধা:
- নিজস্ব নাম ও ব্র্যান্ড বানানো সম্ভব,
- লং–টার্মে প্যাসিভ ইনকামের সুবিধা রয়েছে,
- নানারকমের নিশ বা বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়,
- যেকোনো সময়ে ফ্লেক্সিবলভাবে কাজ করা সম্ভব,
- অ্যাড ও অ্যাফিলিয়েট লিংক থেকে মনিটাইজেশান হয়।
৪. অনলাইন ইনকাম অ্যাপ:
অনলাইনে এমন প্রচুর স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলো থেকে নানারকম উপায়ে রোজগার করা যায়। এই ধরণের অ্যাপগুলোর সাহায্যে গেম খেলে, ওয়েবসাইট টেস্ট করে বা সার্ভে ফিলআপ করে ইনকাম করার সুবিধা থাকে।
এমনই কিছু ইনকাম অ্যাপ্লিকেশন হল– CashKaro, Swagbucks বা Google Opinion Rewards। CashKaro অ্যাপের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন শপিং সাইট থেকে শপিং করলে, প্রতিটা পার্চেজ থেকে ক্যাশব্যাক পাবেন।
Google Opinion Rewards-এ আসা শর্ট সার্ভেগুলোর উত্তর দিলে, এখান থেকেও ক্যাশ রিওয়ার্ড পেতে পারেন। এছাড়াও, Swagbucks থেকে আপনি অনলাইন শপিং করে, ওয়েব সার্চ করে বা অন্যান্য অ্যাক্টিভিটিতে পার্টিসিপেট করে নিজের মোবাইল দিয়ে ক্যাশ আর্ন করতে পারেন।
সুবিধা:
- শর্ট–টার্ম ইনকামের জন্যে ভালো,
- যখন খুশি অল্প সময়ে আয় করা যায়,
- গিফ্টকার্ড ও ক্যাশের মাধ্যমে পেআউট হয়,
- সহজে সেটআপ করে ইনকাম শুরু করা যায়,
- iOS ও অ্যান্ড্রয়েড দুটো ইন্টারফেসেই কাজ করে।
৫. অনলাইন আর্নিং ওয়েবসাইট:
সৎভাবে বাড়ি বসে ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনলাইন আর্নিং সাইটগুলো খুবই কার্যকরী। Upwork, Freelancer.com, বা Fiverr হল এমনই কতগুলো অনলাইন ইনকাম সাইট।
এখানে আপনি গ্রাফিক ডিসাইনিং,ইঞ্জিরিয়ারিং, কনটেন্ট ক্রিয়েটিং, রাইটিং, মার্কেটিং ও অন্যান্য নানান ইন্ডাস্ট্রির বেস্ট সমস্ত কাজের সন্ধান পেয়ে যাবেন। এই ধরণের সাইটগুলোতে ইন্টারন্যাশনাল প্রোজেক্টে কাজ করার সুবিধা রয়েছে।
এখানে পার্ট–টাইম, ফ্রীলান্সিং, কন্ট্রাক্টচুয়াল ভিত্তিতে কাজ করা যায়। এর পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটগুলোর পেমেন্ট মাধ্যমগুলোও যথেষ্ট নিরাপদ।
এই সাইটগুলো থেকে ইচ্ছেমতো প্রজেক্টে বিড করতে পারবেন। তবে, এখানে আপনার আয়ের পরিমাণ আপনার অভিজ্ঞতা ও কাজের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
সুবিধা:
- ফ্লেক্সিবল কাজের শিডিউল রয়েছে,
- অনেক গ্লোবাল ক্লায়েন্ট বেস থাকে,
- নিরাপদ পেইমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে,
- প্রচুর রকমের চাকরির সুযোগ আছে,
- ফ্রীল্যান্সিং কেরিয়ার তৈরির জন্যে বেস্ট।
৬. অনলাইন টাইপিং জব:
আপনি যদি দ্রুত টাইপিং করতে পারেন, তাহলে TranscribeMe বা Rev–এর মতো ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং জবের খোঁজ দিতে পারে। এই ধরণের সাইটগুলো বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও ফ্রীল্যান্সারদের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে।
কোনোরকমের প্রফেশনাল ট্রেনিং ছাড়াই এই ধরণের অনলাইন কাজগুলো করা সম্ভব। শুধুমাত্র স্টেবল ইন্টারনেট কানেকশন, স্মার্টফোন বা কম্পিউটার এবং ভালো টাইপিং স্পিড থাকলেই চলবে।
এখানে অডিও ট্রান্সক্রিপশন, ডিজিটাল ফর্ম্যাটে ডক্যুমেন্ট কনভার্ট করা ও ডেটা এন্ট্রি মতো জবগুলো থাকে। অবশই, নিজের স্মার্টফোনে এই সাইট গুলো ওপেন করেও কাজ করা যাবে।
সুবিধা:
- কোনো বিশেষ দক্ষতা লাগে না,
- ফ্লেক্সিবল ও ওয়ার্ক–ফ্রম–হোমের সুবিধা,
- টাস্ক কমপ্লিট হলেই পেআউট করা যায়,
- সবসময়ে বিভিন্ন টাস্ক এভেইলেবেল থাকে,
- ভালো টাইপিং স্পিড থাকা মানুষদের জন্যে ভালো।
৭. Captcha এন্ট্রি:
হাতে এক্সট্রা ক্যাশ পাওয়ার অন্যতম সহজ একটা মাধ্যম হল Captcha এন্ট্রি করা। এই কাজগুলো করা খুবই সহজ, তবে খুবই বোরিং। এই ক্যাপচা সলভিং কাজটা আপনি বিভিন্ন ক্যাপচা সলভিং ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে শুরু করতে পারবেন।
উদাহরণ স্বরূপ, বিভিন্ন ক্যাপচা ওয়েবসাইট, যেমন- Kolotibablo ও 2Captcha, আপনাকে বিভিন্ন ক্যাপচা এন্ট্রি করার জন্যে পে করে থাকে। এখানেও বিশেষ কোনো স্কিল বা এক্সপেরিয়েন্সের দরকার হয় না।
এই ধরণের ওয়েবসাইটগুলোতে সাইনআপ করার পর প্রতিটা সেশনে যতখুশি ক্যাপচা কমপ্লিট করা যায়। এই কাজটি খালি সময়ে, কম খাটনিতে নিজের মোবাইল দিয়ে এক্সট্রা ইনকাম করার জন্যে খুবই ভালো একটা উপায়।
সুবিধা:
- লো–পেআউট ক্রাইটেরিয়া,
- ওয়ার্ক–ফ্রম–হোমের সুবিধা,
- ফ্লেক্সিবেল ওয়ার্কিং আওয়ার,
- সবসময়েই একটানা টাস্ক পাওয়া যায়,
- কোনো আলাদা স্কিল বা এক্সপেরিয়েন্সের প্রয়োজন নেই।
৮. ফটো সেল করার ওয়েবসাইট:
ফটোগ্রাফি করার শখ থাকলে নিজের তোলা ছবিগুলো থেকেও আয় করতে পারেন। Foap, Adobe Stock বা ShutterStock–এর মতো ওয়েবসাইটগুলো আপনার ছবিগুলোকে ইন্টারনেট মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে ছড়িয়ে দেয়।
এই সাইটগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট আপনার ছবিগুলো নির্দিষ্ট প্রাইসে কিনতে পারে।
এখনকার স্মার্টফোনে যথেষ্ট উন্নতমানের ক্যামেরা থাকে। যার সাহায্যে আপনি সহজেই বিভিন্ন ফটো তুলে এই জনপ্রিয় অনলাইন ফটো সেলিং সাইটগুলোতে আপলোড করতে পারেন। আপনার ছবিগুলো এই সাইট থেকে যতবার ডাউনলোড হবে, আপনি ততবার রয়্যালটি বা কমিশন ইনকাম করতে পারবেন।
সুবিধা:
- সহজ আপলোডিং প্রসেস,
- একাধিক পেআউট মেথড রয়েছে,
- রয়্যালটি থেকে প্যাসিভ ইনকাম হয়,
- প্রফেশনাল যন্ত্রপাতির দরকার হয় না,
- ফটোগুলোকে ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোজার দেয়।
৯. রেফারিং অ্যাপ্লিকেশন:
Rakuten বা CashKaro–এর মতো এমন অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যেগুলোর রেফারাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনেকটা টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়। এই রেফেরাল প্রোগ্রামের সাহায্যে আপনাকে বিভিন্ন অ্যাপ ও সার্ভিসগুলো অন্য মানুষদেরকে রেফার করতে হবে।
আপনার রেফার করার পর কেউ যদি কোনো অ্যাপ বা সার্ভিস ব্যবহার করেন, তাহলে সেই রেফার করার জন্যে আপনি ক্যাশ বা রিওয়ার্ড পাবেন। খুব বেশি পরিশ্রম না করে কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকামের জন্যে এই রেফারাল প্রোগ্রাম হল খুবই ভালো একটা উপায়।
এছাড়াও, একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে রেফারাল লিঙ্কগুলো নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল বা মেসেজিং অ্যাপগুলোতে শেয়ারও করা যায়।
সুবিধা:
- কম খাটনিতে সহজ ইনকাম,
- কোনোরকমের স্কিলের দরকার নেই,
- প্রতিটি রেফারালে গ্যারান্টিড রিওয়ার্ড,
- সহজে রেফারাল লিংক শেয়ার করা যায়,
- সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিংয়ের জন্যে বেস্ট।
১০. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করা:
নিজের কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে চাইছেন? তাহলে, Gumroad, Teachable, Etsy বা SkillShare হল এমনই কতগুলো বেস্ট ওয়েবসাইট।
যেগুলোর মাধ্যমে আপনি নিজের অনলাইন কোর্স, প্রিন্টেড আইটেমস, বা ই–বুক বিক্রি করে টাকা রোজগার করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলো প্যাসিভ ইনকামের জন্যে খুবই ভালো।
এইধরণের সাইটগুলো এডুকেটর ও ক্রিয়েটরদের নিজেদের দক্ষতাকে সঠিকভাবে মনিটাইজ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে এক্সপার্ট হন, তাহলে আপনি নিজের স্কিল ও এক্সপেরিএন্সকে ডিজিটাল কটেন্ট হিসেবে অনলাইন মাধ্যমে সেল করতে পারেন।
সুবিধা:
- নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাসিভ ইনকাম হয়,
- কম খরচে ভালো প্রফিট মার্জিন দেয়,
- ক্রিয়েটর ও এডুকেটরদের জন্যে ভালো,
- কোনোরকমের হিসাবপত্র রাখতে হয় না,
- সেটআপ ও ম্যানেজমেন্ট করা বেশ সহজ।
উপরের এই সেরা ১০টি উপায় অবলম্বন করে নিজের স্মার্টফোন দিয়ে অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনাকে উমুক্ত করুন। এই সমস্ত ইনকামের উপায়গুলো আপনার কাছে শুধুমাত্র একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যবহার করা যাবে।
এইভাবেই নিজের ইচ্ছে, সুবিধা ও সময়মতো ফ্লেক্সিবল আয় ধরে রেখে, নিজের জীবনযাত্রাকে আরও বেশি সচ্ছল করতে দেরি না করে আজই প্যাসিভ ইনকামের যাত্রা শুরু করুন আর নিজের আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলুন।