অ্যান্ড্রয়েড ফোন বারবার হ্যাং হচ্ছে? মুক্তি পেতে জেনে নিন এই তথ্যগুলি

How to solve android mobile hang problem
How to solve android mobile hang problem

বর্তমান প্রযুক্তিগত উন্নতি যত বাড়ছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহারও। ছোট বড় সবার হাতেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন উঠে এলেও এই ফোনগুলোর অন্যতম একটি সমস্যা হল ফোন স্লো হয়ে যাওয়া বা বারবার হ্যাং করা।

নতুন কেনা ফোন বেশ কিছুদিন দারুণ পারফর্মেন্স দেওয়ার পরই আস্তে আস্তে আগের স্পিড কমে আসতে থাকে। হাই রেজোলিউশন ভিডিও চলা বা গেম খেলার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় গ্রাহক দের। এমনকি অনেক সময় হাই ক্যাপাসিটি র‌্যাম বা স্টোরেজ ও এই সমস্যা আটকাতে পারেনা।

তবে অপ্রয়োজনীয় বা অব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন আনইনস্টল, ক্যাচে ফাইল ডিলিট, ফোনে চলা অ্যানিমেশনের স্পিড কন্ট্রোল, ডিভাইস রিস্টার্ট, ফ্যাক্টরি রিসেট ইত্যাদি দ্বারা ফোনের পূর্বোল্লিখিত সমস্যা গুলোর সমাধান সম্ভব।

চলুন, নিচে এমন কিছু জরুরি ধাপ গুলি জেনেনেই যেগুলি অনুসরণ করার মাধ্যমে মোবাইল হ্যাং হওয়া সমস্যা থেকে সত্যি মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করুন:

আমাদের ফোনে এমন অনেক অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে যা আমাদের কাজে আসেনা।

অব্যবহৃত অ্যাপ গুলি ফোনের শুধু স্টোরেজ নষ্ট করে তাই নয়, এছাড়াও এই অ্যাপ গুলি ব্যকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এবং সিস্টেমের ব্যাটারিও ব্যবহার করে।

তাই যে অ্যাপগুলি একান্ত অপ্রয়োজনীয় সেগুলি আনইনস্টল করলে যে শুধু ফোনের স্টোরেজ বাড়বে তাই নয়, তার সাথে ব্যাটারির আয়ুও বাড়বে।

আবার কিছু এমন অ্যাপ থাকে যেগুলো ইনবিল্ট অর্থাৎ সেগুলো আনইনস্টল করা যায় না, সেক্ষেত্রে সেগুলোকে ডিজেবল করা সম্ভব।

ফোনের স্টোরেজ স্পেস খালি করুন:

অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্লো হবার সবথেকে বড়ো কারণ হলো অত্যধিক স্টোরেজ স্পেস ব্যবহার করা।

এই স্টোরেজ স্পেস ২০% এর নিচে নেমে যাওয়া মানেই ফোনের স্পিড কমতে থাকবে। তাই অপ্রয়োজনীয় বড়ো বড়ো ফাইলগুলি ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়া উচিত। নিতান্ত প্রয়োজনীয় ছবি ছাড়া বাকি ছবি ডিলিট করে দেওয়া উচিত।

ডিভাইস রিস্টার্ট করুন:

ফোন হঠাৎ হ্যাং করলে ডিভাইস রিস্টার্ট একটি কার্যকরী উপায় সেটা থেকে মুক্তি পাবার।

কারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অ্যাপ গুলি কিন্তু ফোন হ্যাং বা স্লো হবার জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই ফোন রিস্টার্ট হলে একটা সফট রিবুট প্রসেস ব্যকগ্রাউন্ডকে খালি করে দেয়। তাই অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকদের সপ্তাহে অন্তত একবার ডিভাইস রিস্টার্ট করা উচিত।

অ্যানিমেশনের স্পিড বাড়ান:

ডিভাইস স্লো হওয়া থেকে বাঁচানোর আর একটা উপায় হলো ডিভাইস অ্যানিমেশনের স্পিড বাড়ানো।

অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরা ম্যানুয়ালি অ্যানিমেশনের স্পিড বাড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে তা গ্রাহকের স্মার্টফোনের মাধ্যমে নেভিগেট করার সময়কে কমিয়ে দেয়।

ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে এই স্পিড কন্ট্রোল করা সম্ভব।

ফ্যাক্টরি রিসেট করুন

উপরের সব উপায় যদি ফোনকে হ্যাং বা স্লো হওয়া থেকে আটকাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে একমাত্র উপায় হলো ফ্যাক্টরি রিসেট। এই পদ্ধতিটির দ্বারা ফোনটি একদম নতুন অবস্থায় ফিরে আসে, ফোনের যাবতীয় ডেটা ও মেমোরি ডিলিট হয়ে যায়।

তাই সেই উপায় অবলম্বনের আগে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ নিয়ে নেওয়া দরকার।

উপরের নিয়মগুলি ফলো করলে আপনিও আপনার ডিভাইসকে বেশিদিন কার্যক্ষম রাখতে পারবেন। এছাড়া, যতটা সম্ভব মোবাইলে ভারী ভারী apps গুলি ব্যবহার করবেননা। কেননা, অপ্রয়োজনীয় ও বড় অ্যাপস গুলি মোবাইলের ডাটা এবং রিসোর্স গুলি ব্যাকগ্রউন্ডে ব্যবহার করে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে, একটি স্মার্টফোন স্লো হওয়া এবং হ্যাং হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top