বাংলাদেশে টিকটক থেকে কি কি উপায়ে ইনকাম করবেন?

বর্তমান সময়ে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হয়েই আর থাকেনি, ফেসবুক, টিকটক এবং ইনস্টাগ্রাম এর মতো আধুনিক সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম গুলো আজ একটি লাভজনক আয়ের উৎস হিসেবেও পরিচিত। এর মধ্যে টিকটক আরেকটি প্ল্যাটফর্ম, যা অনেকের জীবনে অর্থ উপার্জনের নতুন পথ খুলে দিয়েছে। এবার আপনিও যদি জানতে চান যে কিভাবে টিকটক থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়, তাহলে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

টিকটক থেকে ইনকাম করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো:

টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য, শুরুতে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর সম্পর্কে অনেক ভালোভাবে জেনেনিতে হবে। যা আমি আগেই বলেছি, টিকটক কিন্তু শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হয়ে থাকেনি। কেননা আপনি চাইলে TikTok-কে ইন্টারনেট থেকে আয়ের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজে লাগাতে পারবেন। তবে টিকটকে সফল হতে হলে ধৈর্য, সৃজনশীলতা এবং সঠিক পরিকল্পনার সাথে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে।

১. নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করুন:

টিকটকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে নিয়মিত আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল ভিডিও কন্টেন্ট গুলো তৈরি করতে এবং সেগুলোকে নিয়মিত নিজের একাউন্টে আপলোড দিতে হবে। কেননা, আপনার TikTok একাউন্টের মধ্যে যত অধিক দর্শক এবং ফলোয়ার থাকবে, টিকটক থেকে আয় করাটা আপনার জন্য ততটাই সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়া, নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করতে থাকলে আপনার প্রোফাইলটি অধিক একটিভ অবস্থায় থাকবে, যা দর্শকদের মধ্যে একটি আলাদা আগ্রহের সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করার সময় ভিডিওর গুণগত মান বজায় রাখার চেষ্টা আপনাকে করতে হবে। এতে আপনার দর্শকরা বার বার কনটেন্ট গুলো দেখতে ও উপভোগ করতে আসতে বাধ্য হবেন।

২. নির্দিষ্ট শ্রোতা/নিচ বাছতে হবে:

আপনার কন্টেন্ট গুলো যদি একটি নির্দিষ্ট শ্রোতাদের টার্গেট করে তৈরি করা হয়, তাহলে তারা আপনার টিকটক চ্যানেলের প্রতি আরও অধিক আগ্রহী হবেন। তাই আপনাকে অবশই একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা “নিচ” বেছে নিয়ে টিকটকে কনটেন্ট তৈরি ও আপলোড করতে হবে। মনের রাখবেন, আপনাকে এমন বিষয় বা “নিচ” বাছতে হবে যা আপনার ব্যক্তিত্ব এবং দক্ষতার সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায়।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি কমেডি, নাচ, হেয়ার টিউটোরিয়াল, ভ্রমণ, রান্না বা শিক্ষামূলক ভিডিও, এই ধরণের কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা “নিচ” নিয়ে কাজ করলে আপনি একটি নির্দিষ্ট শ্রোতাদের গ্রুপকে অনেক তাড়াতাড়ি আকৃষ্ট করতে পারবেন।

৩. আপনাকে আপডেটেড থাকতে হবে:

ট্রেন্ডিং সাউন্ড, চ্যালেঞ্জ বা হ্যাশট্যাগ গুলো খুঁজতে হবে এবং সেগুলোর উপর নিয়মিত কনটেন্ট বানাতে হবে। এর ফলে, টিকটকে আপলোড করা আপনার ভিডিও গুলোর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি বেড়ে যাবে।

আসলে টিকটক একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং প্রবণতা দেখা যায়। তাই সময় এবং ট্রেন্ড এর সাথে সাথে নতুন নতুন কনটেন্ট স্ট্রেটেজি এবং কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি অবশই দর্শকদের নজরে চলে আসতে পারবেন এবং অধিক ফলোয়ারসংখ্যা অর্জন করতে পারবেন।

৪. ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ এবং স্পন্সরশিপ:

যখন আপনার TikTok প্রোফাইলের ফলোয়ার সংখ্যা এবং দর্শকদের দ্বারা হওয়া এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে, তখন নানান কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলো আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। এক্ষেত্রে তারা তাদের পণ্য বা পরিষেবা গুলো আপনার TikTok profile-এর দ্বারা প্রচার করার উদ্দেশ্যে আপনাকে অর্থ প্রদান ও করবেন। আর এটাই টিকটক থেকে আয়ের একটি বড় উৎস হিসেবে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রমাণিত হয়েছে।

৫. লাইভ স্ট্রিমিং এবং গিফটস:

টিকটকের একটি বড় সুবিধা রয়েছে, এখানে আপনি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপনি যেকোনো বিষয় বা টপিক নিয়ে লাইভ স্ট্রিম করতে পারবেন।

এখানে আসল কাজের বিষয়টি এটাই যে, লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালে দর্শকরা আপনাকে সরাসরি ভার্চুয়াল গিফট গুলো দিতে পারে। আর দর্শকদের থেকে গ্রহণ করা এই ভার্চুয়াল গিফট গুলো আপনি পরে গিয়ে আসল টাকায় কনভার্ট করে নিতে পারবেন। TikTok থেকে টাকা ইনকামের এটি আরেকটি জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে আরেকটি।

উপরে বলে দেওয়া পদক্ষেপগুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে আপনিও টিকটক থেকে আয়ের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, প্রথম দিন থেকেই কিন্তু আপনার ইনকাম শুরু হবেনা। এক্ষেত্রে আপনাকে, নিজেকে আপডেট রেখে, সঠিক কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সৃ

জনশীল হয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও কাজ করতে হবে। আপনার যদি নিজের তৈরি করা কন্টেন্টের প্রতি সত্যি বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনিও পারবেন টিকটক থেকে ইনকাম করতে।

টিকটক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

চলুন, এখন সরাসরি জেনেনেই টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতিগুলো।

১. স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করে আয়:

যখন আপনার TikTok অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার বেস তৈরি হয়ে যাবে, তখন নানান ব্র্যান্ড ও কোম্পানিগুলো আপনাকে তাদের পণ্যের প্রচারের উদ্দেশ্যে পেইড স্পনসরশিপ অফার করে থাকেন। এই উপায়টি কিন্তু টিকটক থেকে উপার্জনের একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে প্রমাণিত হয়ে এসেছে।

পেইড স্পনসরশিপ এর ক্ষেত্রে আপনাকে নিজের ভিডিও কনটেন্ট গুলোতে কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবাগুলো প্রচার করতে হয়। আর এই কাজের জন্য কোম্পানিগুলো আপনাকে দিবেন টাকা।

তাই আপনার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, টিকটকে ধীরে ধীরে নিজের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ানোর এবং নিয়মিত আকর্ষণীয় কনটেন্ট গুলো তৈরি করার। ধারাবাহিকভাবে আকর্ষণীয় ও উচ্চমানের ভিডিও কনটেন্ট গুলো পোস্ট করার মাধ্যমে আপনি দ্রুত নিজের ফলোয়ার বেস বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

২. লাইভ গিফট সংগ্রহ করা:

আপনি কি জানেন, টিকটক লাইভ ফিচারটির মাধ্যমে আপনার ফ্যান আপনাকে সরাসরি গিফট পাঠাতে পারেন, যা পরবর্তীতে সহজে ক্যাশ আউট ও করে নেওয়া যাবে। আসলে টিকটক থেকে আয়ের এটি একটি অনেক জনপ্রিয় পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অনেক ইনফ্লুয়েন্সাররা টিকটক থেকে নিয়মিত টাকা ইনকাম করছেন।

এক্ষেত্রে TikTok-এ লাইভ এসে আপনি আপনার প্রতিভা বা কন্টেন্ট গুলো ইউজারদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার ফ্যানদের আকৃষ্ট করতে পারে এই ধরণের কনটেন্ট প্ল্যান করেই আপনাকে লাইভ আসতে হবে।

টিকটকের এই গিফট সিস্টেমটি ব্যবহার করে অনেকেই ফুল-টাইম আয়ের একটি নতুন সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ করে যারা ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট তৈরি করেন বা ফলোয়ারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে ভালোবাসেন, তারা এই গিফট ফীচার থেকে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

আপনি চাইলে নিজের টিকটক ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করে নানান কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুলো নিজের ফলোয়ার বা শ্রোতাদের কাছে প্রমোট করতে পারেন। তবে এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে হবে এবং সেখানে নিজের একাউন্ট তৈরি করতে হবে।

এবার সেই এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আপনাকে নিজের জন্য একটি ইউনিক রেফারেল লিংক জেনারেট করে নিতে হবে। এবার, তৈরি করা নিজের রেফারেল লিংকটি আপনার টিকটক ভিডিওর ক্যাপশনে বা বায়োতে শেয়ার করতে হবে। টিকটকে ভিডিও দেখার সময় কোনো দর্শক যদি আপনার দিয়ে দেওয়া সেই এফিলিয়েট লিংক থেকে কিছু কেনেন বা কোনো সার্ভিস সাবস্ক্রাইব করেন, তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে যাবেন।

এটা সত্যি একটি সহজ উপায় যেখানে আপনি টিকটক এর জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েট করার পাশাপাশি তৈরি করা ভিডিওতে নানান পণ্য বা পরিষেবাগুলো প্রচার করে আয়ের একটি দারুন সুযোগ তৈরি করতে পারেন। অধিক আয়ের জন্য, আপনাকে সবসময় নিজের ভিডিও কনটেন্ট বা টিকটক চ্যানেলের মূল বিষয়ের সাথে রিলেটেড পণ্য বা পরিষেবা গুলোর প্রচার চালানো দরকার।

৪. পণ্য বিক্রি করে আয়:

আপনার যদি নিজের কোনো ব্র্যান্ড বা পণ্য থেকে থাকে, তবে আপনি আপনার টিকটক অ্যাকাউন্টটিকে অনলাইন মার্কেটিং এর একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটা সত্যি একটি অনেক শক্তিশালী অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবার প্রচারণা চালাতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার নিজের তৈরি করা পণ্য, যেমন হস্তশিল্প, পোশাক বা নানান ধরণের খাবার গুলো টিকটক দ্বারা বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া, নানান ধরণের ডিজিটাল পরিষেবাগুলো, যেমন অনলাইন কোর্স, পরামর্শ সেবা, বা ডিজিটাল ডাউনলোডের সাথে রিলেটেড প্রমোশনও করতে পারেন।

নিজের ক্রিয়েটিভিটি দেখিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং যেই পণ্যের প্রচার করতে চাইছেন সেই পণ্যের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাগুলো ভিডিওতে তুলে ধরে সহজেই সম্ভাব্য গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।

৫. টিকটক ক্রিয়েটর ফান্ড থেকে ইনকাম:

আপনি কি জানেন, টিকটক সরাসরি তাদের ক্রিয়েটরদের অর্থ প্রদান করে থাকেন? আসলে এই অর্থ TikTok শুধুমাত্র সেই ক্রিয়েটরদের প্রদান করেন যাদের কনটেন্ট ভাইরাল হয়ে থাকে। তবে এর জন্য কিছু নির্ধারিত শর্ত অবশই রয়েছে।

যেমন, আপনার একাউন্টে কমেও ১০ হাজার ফলোয়ার্স থাকতে হবে, গত ৩০ দিনে কমেও ১ লক্ষ কনটেন্ট ভিউ থাকতে হবে এবং আপনার বয়েস ১৮+ হতে হবে। মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে TikTok কিন্তু আপনার কনটেন্ট এর উপর হওয়া ভিউ, এনগেজমেন্ট, এবং ভিডিওর পারফরম্যান্স এর উপর ভিক্তি করে পেমেন্ট করবে।

টিকটক থেকে আয়ের সুবিধা গুলো:

টিকটকের মাধ্যমে আয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো রয়েছে, সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

  • TikTok একটি সম্পূর্ণ ফ্রি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনাকে কোনো ধরণের টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। আপনি কেবল আপনার ক্রিয়েটিভিটি এবং সময়কে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
  • টিকটকে আপনার ভিডিও গুলো একবার ভাইরাল হয়ে গেলে, সেগুলো দীর্ঘ সময় ধরে আপনাকে ইনকাম এনে দিতে পারে। আসলে টিকটকের অ্যালগরিদম এমনভাবে কাজ করে যে পুরোনো ভিডিওগুলিও সময়মতো নতুন দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে একই ভিডিও থেকে রেগুলার ভিউস এবং ফলোয়ার্স পাওয়া যায়।
  • আপনি অনেক সহজেই নিজের ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন। নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা পাওয়া যায় এবং কাজের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অফিস বা স্থানের প্রয়োজন হয় না।
  • টিকটক কিন্তু শুধুমাত্র একটি অনলাইন আয়ের মাধ্যম না, টিকটকের দ্বারা আপনি নিজের একটি ব্র্যান্ডও তৈরি করতে পারবেন। যেখানে পরে গিয়ে আপনি আপনার দক্ষতা, পণ্য বা সেবা গুলোর প্রদর্শন করতে পারবেন।

টিকটক থেকে ইনকামের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

১. ধৈর্য ধরুন:

মনে রাখবেন, টিকটক থেকে আয় শুরু করতে কিন্তু সময় লাগতে পারে। এখানে আপনি ধাপে ধাপে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এগোতে হবে। তাই তাড়াহুড়ো না করে হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরির দিকে নজর দিতে হবে।এছাড়া, রেগুলার কনটেন্ট পোস্ট করার পাশাপাশি ধৈর্য ধরে ফলোয়ার এবং দর্শক সংখ্যা বাড়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

২. ফলোয়ারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন:

আপনাকে আপনার ফলোয়ারদের সাথে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত তাদের মন্তব্যের উত্তর দিন, লাইভ সেশনে অংশগ্রহণ করুন এবং তাদের ফিডব্যাক গ্রহণ করুন।

এই ধরণের ইন্টারঅ্যাকশন গুলো ফলোয়ারদের মধ্যে এক ধরণের ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এতে তারা অধিক আগ্রহের সাথে আপনার সমস্ত কনটেন্ট গুলো দেখতে রুচি রাখেন।

৩. সৃজনশীল হতে হবে:

রেগুলার নতুন নতুন, ট্রেন্ডিং এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট গুলো তৈরি করার চেষ্টা করুন। আপনাকে অবশই বর্তমানের ট্রেন্ডগুলি অনুসরণ করতে হবে, এবং নিজস্ব স্টাইল সহ কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। আপনাকে নিজের কনটেন্টে এমন কিছু ইউনিক স্টাইল, এডিটিং বা বিষয় যুক্ত রাখা দরকার যা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে। দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে আপনাকে এই বিষয়ে অবশই নজর দিতে হবে।

    শেষ কথা

    তাহলে বন্ধুরা, যা আমি আগেও বলেছি, টিকটককে শুধুমাত্র একটি বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখলে কিন্তু চলবেনা। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ লোকেরা টিকটকে নিয়মিত ভিডিও বানিয়ে আপলোড কেন করছেন, সেটাও আপনাকে বুঝতে হবে।

    আপনি চাইলে সৃজনশীলভাবে কাজ করে এখান থেকে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে অবশই নিয়মিত আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। তাই আর দেরি না করে আজই শুরু করুন টিকটক এর যাত্রা এবং দেখুন আপনি টিকটক থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারছেন।

    Leave a Comment